| |
               

মূল পাতা জাতীয় রাত পোহালেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসম্মেলন 


রাত পোহালেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসম্মেলন 


শেখ আশরাফুল ইসলাম     04 November, 2024     10:13 PM    


রাত পোহালেই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হবে মহা-সম্মেলন। আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য এই ইসলামী মহাসম্মেলন সফল করতে দেশের সর্বস্তরের আলেম ওলামা ও আপামর তাওহীদি জনতাকে দলে দলে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমগণ।

রোববার (৩ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানান।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সম্মেলনকে কেন্দ্র ঢাকা অভিমুখে রওয়ানা দিয়েছেন লাখো মানুষ। ইতোমধ্যে অনেকেই সম্মেলনস্থলে এসে উপস্থিত হয়েছে। আগামীকালের মহাসম্মেলন জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা যায়,  এটা রজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার সমাবেশ নয়। এমনকি রাজনৈতিক কোন দল বা দলগুলোর আহুত কোন সমাবেশও নয়। এটা তবলিগ জামাতের আহুত সমাবেশ।

এর আগে প্রচারণা নিয়ে দেশব্যাপী বিভ্রান্তিকরভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টার ছড়িয়ে পড়ে। এতে সম্মেলনে কারা থাকবেন, কারা বক্তব্য রাখবেন বিষয়ে আলেমদের একটি দীর্ঘ তালিকা দেওয়া হয়েছে। অথচ এ পোস্টারটি কে বা কারা বানিয়ে ছড়িয়ে দিলো তার তথ্য অনুসন্ধান করা যায়নি। পরে সংবাদ সম্মেলন করে গতকাল রোববার (৩ নভেম্বর) বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক।

বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখছি এই মহাসম্মেলনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এসব অপপ্রচারে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক করছি। সুশৃংখলভাবে দ্বীন রক্ষার এই সম্মেলন সফল করার আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রচারণার বিষয়ে উল্লেখিত সূত্রে জানা যায়,  তবলিগ জামাত থেকে এ সমাবেশের কোন পোস্টার করা হয়নি। যেমনটি তাদের কোন এজতেমা ও জোড়ের কোন পোস্টার তারা করে না।  তবলীগী জামাতের প্রোগ্রামের প্রচারের বরাবরের ধরন হলো, কাকড়াইল থেকে মারকাজে, মারকাজ থেকে হালাকায়, হালকা থেকে মসজিদে তাকাজা যায়। এ সমাবেশের প্রচারও সেভাবেই করা হয়েছে।

সূত্রে আরও জানা যায়,  ৫ তারিখের সমাবেশের ব্যপারে জেলা মারকাজ থেকে তাকাজা শোনানো হয়েছে, 'এজতেমার অনুমতির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলে অনুমতি মিলেনি। বরং সাদপন্থীদের এজতেমায় শরিক হতে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।' 'এজতেমার মাঠ ও কাকড়াইল মসজিদ পরিচালনার সুযোগ এককভাবে সাদপন্থীদের দিয়ে দেওয়ার গোপন প্রচেষ্টা অনেক অগ্রসর ও আলামত দৃশ্যমান।' এ প্রেক্ষিতে মুরুব্বিরা ৫ তারিখের প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকেছেন।

রাজনৈতিক বিবাদে না জড়ানোর আহ্বান :

মারকাজের তাকাজায় বলা হয়েছে, সময় লাগানো সাথীরা শরিক হব, মেহনতকে মহব্বতকারীরা শরিক হব, উলামা-তলাবা হযরতগণ শরিক হব। হালকার মারকাজের তবলীগের জিম্মাদারগণ নিজ নিজ হালকার মেহনতি সাথীদের নিয়ে কাফেলা তৈরি করছেন। তাই ৫ তারিখের সমাবেশ নিয়ে রাজনৈতিক বিবাদে না জড়াই। ৫ তারিখের সমাবেশ নিয়ে কওমী মাদরাসার সনদ গ্রহণ-বর্জনের কোন শঙ্কায় না থাকি। মাদরাসা ইস্যু না, দল ইস্যু না, নেতা ইস্যু না,ঐক্য ইস্যু না।